টেকনাফে স্পীডবোট ডুবিতে নিখোঁজ শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার

গিয়াস উদ্দিন উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑

টেকনাফে নাফনদে ফিশিংট্রলার ধাক্কায় স্পীডবোট উল্টে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ৭ বছর ব্য়সি শিশু কন্যা সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া সংলগ্ন নাফনদীর উপকুলীয় এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে উক্ত ঘটনায় শিশু সুমাইয়াসহ সর্বমোট তিনজন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন, মোঃ গফুরের স্ত্রী রশিদা বেগম (৬০), আব্দুল জলিলের স্ত্রী মেহের নিছা (৭৫) এবং শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার (৭) ৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ২ টারদিকে টেকনাফের কায়ুকখালী খাল ও নাফনদীর প্রবেশ মুখে এ ঘটনাটা সংঘটিত হয়েছিল।

এঘটনায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে জনসাধারনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

প্রসঙ্গত: প্রতি দিনের ন্যায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রার জন্য পুর্ব পাড়ার বাসীন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন স্পীড বোটে ৪ জন মহিলা সহ ১১ জন যাত্রী উঠেছিলেন। চালক ছিলেন মোহাম্মদ গণির ছেলে মোহামদ কায়সার (২৮)।

টেকনাফের কায়ুকখালী খাল থেকে বের হওয়ার পথে সাগর থেকে মাছ শিকার করে দ্রুত গতিতে আসা টেকনাফগামী ফিশিংট্রলারটি স্পীডবোটটিকে ধাক্কা দিলে উল্টে যায়।

এরপর এ ঘটনায় সেন্টমার্টিনের ৭৫ বছর বয়সি মেহের নেছা কক্সবাজার নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। একই এলাকার ৬০ বছর বয়সি রশিদা বেগমকে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলো ঢলে পড়ে।

এ ব্যাপারে স্পীডবোটের যাত্রী আহত মোহাম্মদ আমিন জানান, স্পীডবোট অতিরিক্ত যাত্রী বহন, চালক অধক্ষ এবং দ্রুত গতিতে ফিশিংট্রলারটি খালের প্রবেশ করার কারনে এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।